Sunday, May 27, 2018

"মুক্তির কথা"

গ্যাস নেই পানি নেই বিদ্যুৎ নেই, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশকে প্রভূ ভারতের পায়ে সপে দিবে” ইত্যাদি ইত্যাদি বলে বেজি ঘসেটি বেগম গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে করে বড্ড ক্লান্তহয়ে পড়েছেন। বিগত বছর গুলোতে আহা বেচারার উপর অনেক ধকল গিয়েছে। একদিকে স্বামীকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দেশবাসীকে প্রতারণা করার অপবাদ আর গ্লানি, অন্যদিকে দুটি ছেলে আর্মির ঠ্যাংগানি খেয়ে পঙ্গু প্রায় মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছে। দু’দিন আগে ভাইটাও মারা গেলো তারপরে ছোট ছেলেটাও (ইন্নালিল্লাহে -রাজিউন)। নীতিনির্ধারকদের সাথেও ইদানিং সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। ওই দিকে পি আই এস আই’র শর্ত অনুযায়ী ৭২ এর সংবিধান পরিবরতন/পরিবর্ধন করে বাংলাদেশকে ইসলামিক রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ প্রয়াসও এখন কার্যকর হবার আর কোনই সম্ভাবনা রইলো না। আগামী কত বছরে বি এন পি ক্ষমতায় যাবে তা' আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। নেতা কর্মীরাও এক রকম আশা ভরসা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা
বানিজ্য সহ বেশীর ভাগই প্রবাসে ছুটে যাবার ইচ্ছে ব্যক্ত করছে। অনেকে চলে গিয়েছে। রোগ বালাই তো লেগেই আছে, পায়ের ব্যথা ও প্রেসার তো আছেই তাঁর উপর স্কীন এলারজী, কতো কষ্টে আছেন বেগম জিয়া? বেচারা চিল্লাতে চিল্লাতে গলা ফাটিয়ে এখন চুপসে গেছেন। আর গলাবাজি চলেনা। দলের ছেলেগুলোও কেমন যেনো বেয়াদপ প্রকৃতির হয়ে গেছে। এইতো সেদিন জন্মভূমি ফেনিতে কি ন্যাক্ক্যারজনক ঘটনাটাইনা ঘটলো। দলীয় কোন্দল বেচারার নিজের সীটটাও বোধ করি আর রাখা সম্ভব হবেনা। কারন ওখানে আবার বাঘা বাঙ্গালী জয়নাল হাজারীকে আগামীতে আওয়ামী লীগ থেকে টিকেট দেবার একটা আভাসও ইদানিং সারা দেশ থেকে ভেসে আসছে।
এবারে সেই ১২তম স্বামী জিয়ার দেশের বাড়ী বগুড়ার সীটটাই একমাত্র ভরসা। বাঙ্গালী আসলে বোকা, তারা ঘসেটি বেগমের ফিন ফিনে শাড়ীর ফাকে ফাকে এখন আর মাংসপিণ্ড বা নাভি দেখে নেত্রীদের ভালোবাসেনা। ভালোবাসে দেশ ও জাতির মঙ্গল এবং উন্নয়ন দেখে। দেশের মানুষগুলো উপলব্ধি করতে পেরেছে সত্যিকারের দেশের উন্নয়ন কোন সরকারের আমলে হয়? বেচারার দলের সবই লুটপাট করে সেই ডঃ ফখরুদ্দীনের সময়কাল থেকেই জেলের বদ্ধ সেলে আর পালিয়ে দিন কাটাচ্ছে। বেগম জিয়া বুঝলেন অনেক দেরী করে “চির সত্যকে কখনোই মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না”।

No comments:

Post a Comment